GUIDING AGENCIES OF EDUCATION IN INDIA

FULL FORM – UNIVERSITY GRANTS COMMISSION

প্রেক্ষাপট

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন এর অন্যতম প্রধান সুপারিশ ছিল উচ্চশিক্ষায় আর্থিক অনুদান ও অন্যান্য বিষয়গুলিকে কিভাবে রূপায়িত করা যায় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হবে।

গঠন

১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর UGC এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডক্টর আবুল কালাম আজাদ। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে পার্লামেন্টে গৃহীত আইনের ফলে ইউজিসিস্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। ইউজিসির প্রধান কেন্দ্রটি নিউ দিল্লি তে অবস্থিত।
ইউজিসি এর কমিটি

  1. একজন চেয়ারম্যান
  2. একজন ভাইসচেয়ারম্যান
  3. কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক মনোনীত ১০ জন সদস্য যারা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কোন পদে অধিষ্ঠিত নন তাদের মধ্যে থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
    চেয়ারম্যানেরস্থায়িত্বকাল হল পাঁচ বছর বা যতদিন না তার ৬৫ বছর বয়স হয়।

কার্যাবলী

  1. বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হবে যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
  2. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহের সুপারিশ করা এবং সেগুলি বাস্তবায়িত কিভাবে করা যেতে পারে তার জন্য পরামর্শদান করা।
  3. ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার ক্ষেত্রকে উৎসাহ দেবে এবং সমৃদ্ধ করবে, শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বিভিন্ন ফেলোশিপ ও স্কলারশিপ দিয়ে আর্থিক সহায়তা করবে।
  4. বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণ এবং গবেষণার মান নির্ণয় করা বজায় রাখা।
  5. কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নতদায় কি করা এবং তাদের আর্থিক সাহায্য দান করা।
  6. রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা
  7. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নকরনে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শদান।

Full form – NATIONAL COUNCIL FOR TEACHER EDUCATION

গঠন

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের জন্য NCTE এর উপরে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কার্যাবলী

  1. শিক্ষক শিক্ষণের বিভিন্ন দিকের ওপরে সার্ভে ও অধ্যায়ন করা এবং তার ফলাফল গুলি প্রকাশ করা।
  2. শিক্ষক শিক্ষণের বিভিন্ন কোর্স এর নর্ম নির্ধারণ করা। এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো ভর্তির সময় ন্যূনতম যোগ্যতা স্থির করা এবং পাঠ্যক্রম প্রণয়ন।
  3. অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি কোন নতুন কোর্স শুরু করতে হয় তার রূপরেখা স্থির করা।
  4. অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে টিউটর ফি এবং অন্যান্য ফি কত হবে তা স্থির করা।
  5. কাউন্সিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে রূপরেখা স্থির করেছে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলি তা ফলো করছে কিনা তার জন্য মাঝেমাঝে পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের পরামর্শ দেওয়া।
  6. অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে তাদের দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে পারে সেজন্য মূল্যায়নের মাপকাঠি স্থির করা।
  7. শিক্ষক শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে কর্মসূচি স্থির করা এবং এর পাশাপাশি শিক্ষকের বিকাশ সংক্রান্ত বিষয় গুলি পর্যালোচনার জন্য নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।
  8. সর্বোপরি শিক্ষক শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

Full form – NATIONAL COUNCIL OF EDUCATIONAL RESEARCH AND TRAINING

গঠন

স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার যেসব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং।
স্বয়ং শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৬১ সালে এনসিআরটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

কার্যাবলী

  1. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার মান নির্ধারণ শিশু মনোবিজ্ঞান শিক্ষা প্রশাসন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার কাজ পরিচালনা করা।
  2. বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য পাঠ্যক্রম রচনার দায়িত্ব এনসিআরটি এর।
  3. এনসিআরটি কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন বিষয় পুস্তক প্রকাশ করা হয় যা সিবিএসসি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যহিসাবে বিবেচিত।
  4. স্নাতক শিক্ষকদের জন্য এক বছরের সেকেন্ডারি টিচার এডুকেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।
  5. বিজ্ঞান মেধা পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে।
  6. বিভিন্ন এস সিইআরটি গুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রেখে চলা।
  7. বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও তার বিস্তার করা।

Full form – STATE COUNCIL OF EDUCATIONAL RESEARCH AND TRAINING

কার্যাবলী

  1. বিদ্যালয় শিক্ষা এবং সাধারণভাবে জীবনব্যাপী বিধিযুক্ত শিক্ষা ও বিশেষভাবে শিক্ষক শিক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হলো এস সি ই আর টি অন্যতম কাজ।
  2. প্রাথমিক থেকে উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কর্মকালীন শিক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  3. প্রাথমিক থেকে উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের উপযোগী পাঠ্যক্রম, পাঠদানের উপকরণ, পাঠ্যপুস্তক প্রভৃতি প্রণয়ন।
  4. মাধ্যমিক ও উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের উপযোগী উপকরণ প্রস্তুত করা।
  5. শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ ও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশেষ পরিকল্পনা রচনা করা।
  6. এসসি এসটি ওবিসি এই সমস্ত শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধি স্কলারশিপ ও অন্যান্য উৎসাহসঞ্চারকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  7. প্রাথমিক থেকে উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার খোঁজ-খবর নেওয়া ও পর্যালোচনা করা।

Full form – DISTRICT INSTITUTE OF EDUCATION AND TRAINING

প্রেক্ষাপট

জাতীয় শিক্ষানীতি ১৯৮৬ এবং প্রোগ্রাম অফ একশন ১৯৯২ প্রস্তাব করে জেলাভিত্তিক সাহায্যকারী সংস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন এবং এই জেলা ভিত্তিক সাহায্যকারী সংস্থাকেই ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং বলা হয়।

কার্যাবলী

  1. নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রারম্ভিক শিক্ষা স্তরে প্রি সার্ভিস ও ইন সার্ভিস শিক্ষক-শিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
  2. প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ কে ট্রেনিং দেওয়া এবং অভিমুখী করনের ব্যবস্থা করা।
  3. স্কুলজোট এবং জেলা বিদ্যালয় পর্ষদ কে শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা দান।
  4. প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি এবং ননফর্মাল ও বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচির মূল্যায়ন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
  5. শিক্ষক প্রশিক্ষক নির্দেশনাদানকারীদের জন্য লার্নিং সেন্টার বা রিসোর্স সেন্টার হিসেবে কাজ করা।
  6. জেলা বিদ্যালয় পর্ষদের পরামর্শদানকারী হিসাবে সহায়তা প্রদান করা।

Full form: United Nations educational scientific and cultural organization.

ইউনেস্কো প্রতিষ্ঠিত হয় 16 নভেম্বর ১৯৪৫ সালে।

কার্যাবলী

  1. মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার জন্য সার্বজনীন সম্মান প্রদর্শনকে উৎসাহ দান করা।
  2. বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা।
  3. শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তির উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা কে সুনিশ্চিত করা।
  4. বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রচারকে গুরুত্ব দেওয়া।
  5. বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত যোগাযোগ কে শক্তিশালী করা এবং তথ্য আদান-প্রদান কে আরো বেশি সহজ করে তোলা।

1 thought on “GUIDING AGENCIES OF EDUCATION IN INDIA”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *