১. শিশুশিক্ষা ও স্কুল স্তরের পরিবর্তন (Foundational to Secondary)
নতুন কাঠামো – ৫+৩+৩+৪
পুরোনো ১০+২ ব্যবস্থায় শিশুর প্রথম ১০ বছর ছিল স্কুল পর্যায়ে (ক্লাস ১–১০) এবং পরবর্তী ২ বছর উচ্চমাধ্যমিক (ক্লাস ১১–১২)। এখনকার ব্যবস্থায়:
- ফাউন্ডেশনাল স্টেজ (৩–৮ বছর): ৩ বছর প্রাক-প্রাথমিক + ২ বছর প্রাথমিক শিক্ষা (ক্লাস ১–২)। খেলাধুলা, গল্প বলা, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদির মাধ্যমে শেখানো হবে।
- প্রিপারেটরি স্টেজ (৮–১১ বছর): ক্লাস ৩–৫। ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক শিক্ষা শুরু হবে।
- মিডল স্টেজ (১১–১৪ বছর): ক্লাস ৬–৮। সাবজেক্ট-ওয়াইজ পড়াশোনা শুরু হবে। কোডিং ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট এখানে আসবে।
- সেকেন্ডারি স্টেজ (১৪–১৮ বছর): ক্লাস ৯–১২। মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয় পছন্দের সুযোগ থাকবে – যেমন গণিতের সঙ্গে সংগীত বা কলা।
২. মাধ্যম ভাষা ও বহুভাষা শিক্ষা
- শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান চালু করার সুপারিশ (অন্তত ক্লাস ৫ পর্যন্ত, প্রয়োজনে ৮ পর্যন্ত)।
- ইংরেজি চাপিয়ে না দিয়ে তিন-ভাষার সূত্র (Three Language Formula) মেনে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাখা হবে।
- আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব।
৩. উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর
লক্ষ্য:
- Gross Enrollment Ratio (GER) ৫০% করা ২০৩৫ সালের মধ্যে।
- উচ্চশিক্ষায় আরও নমনীয়তা ও অভিগম্যতা।
ব্যবস্থা:
- Multidisciplinary Education – বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য একসঙ্গে শেখার সুযোগ।
- Academic Bank of Credit (ABC) – এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ডিগ্রি অর্জন করা যাবে।
- Multiple Entry and Exit:
- ১ বছর: সার্টিফিকেট
- ২ বছর: ডিপ্লোমা
- ৩ বছর: ব্যাচেলর ডিগ্রি
- ৪ বছর: গবেষণামূলক ডিগ্রি
বাতিল:
- MPhil ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে।
৪. শিক্ষকদের দক্ষতা ও মানোন্নয়ন
- B.Ed কোর্স ৪ বছরের ইন্টিগ্রেটেড হবে।
- প্রতিটি স্কুলে Teacher Eligibility Test (TET) ও Professional Standards বাধ্যতামূলক।
- নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন, যাতে শিক্ষকরা সময়োপযোগী ও কার্যকর শিক্ষা দিতে পারেন।
৫. স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা
- ক্লাস ৬ থেকে শিক্ষার্থীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং, ইন্টার্নশিপ, হস্তশিল্প, কোডিং ইত্যাদি শিখতে পারবে।
- এতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির উপযোগী দক্ষতা গড়ে উঠবে।
৬. নৈতিকতা ও মানবিক শিক্ষা
- ভারতীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস, শিল্প, সাহিত্য, এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত।
- শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ (truth, peace, non-violence, etc.) শেখানো।
৭. প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও অনলাইন লার্নিং
- National Educational Technology Forum (NETF) গঠন।
- অনলাইন শিক্ষা, ভার্চুয়াল ল্যাব, ডিজিটাল রিসোর্স সব শ্রেণির জন্য সহজলভ্য।
- NEP ২০২০ COVID-19 পরবর্তী যুগে ডিজিটাল লার্নিংকে গুরুত্ব দেয়।
৮. বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবন
- উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসার্চ ও ইনোভেশন বৃদ্ধি পাবে।
- গঠিত হবে National Research Foundation (NRF) – যা গবেষণাকে তহবিল দেবে ও মান উন্নত করবে।
৯. প্রশাসনিক সংস্কার ও একীকরণ
- সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে একটি ছাতার নিচে:
Higher Education Commission of India (HECI), যার অধীনে থাকবে ৪টি বিভাগ:- National Higher Education Regulatory Council (NHERC) – নিয়ন্ত্রণ
- General Education Council (GEC) – কারিকুলাম
- Higher Education Grants Council (HEGC) – তহবিল
National Accreditation Council (NAC) – অ্যাক্রেডিটেশন
১০. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ও আন্তর্জাতিকীকরণ
- বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।
- আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে India as a global education hub পরিকল্পনা।
- বিশ্বমানের ফ্যাকাল্টি নিয়োগ ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতীয় ক্যাম্পাস খুলতে অনুমতি।